সৈয়দ মোঃ কায়সার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
চটগ্রাম নগরীর ৪০ নং ওয়াড এর মাইজপাড়া বড় বাড়ি সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, এবং এর ফলে এলাকাবাসীদের জীবনযাত্রা চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে মাইজপাড়া বড় বাড়ি সড়কের আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যায় বাসিন্দারা অসহনীয় অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪০নং ওয়াডের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা তলিয়ে আছে পানির নিচে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের জায়গা না রাখার কারণে এবং ড্রেইন করার জায়গা দিতে অনিহা প্রকাশ করে বলে ও অভিযোগ করেছেন মাইজপাড়া এলাকার একজন সমাজপতি লোকমান কন্ট্রাক্টর তিনি দৈনিক তৃতীয় মাএা পএিকাকে মোটোফোনে আরও বলেন এলাকাবাসী যদি জায়গা ছাড় দিতে রাজি না হয় তাহলে সড়কের কাজ কিভাবে হবে? যার ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তৃতীয় মাত্রাকে বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা এলাকা বাসী সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বারবার আলোচনা করছি। কিন্তু গত বছর ৫ আগস্টের পরে, যে টাকা ঐ রোড়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সে সময় রোড়ের কাজ না করে সবাই পলাতক, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।”
নগরীর ৪০ নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বড় বাড়ি সড়কের পাশে একজন বাড়িওয়ালা তৃতীয় মাত্রাকে জানান, “পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বাড়ী এবং ভাড়া বাসা তৈরি করে বৃষ্টির পানি জমে থাকে মাসের পর মাস। এই কারণে বাসাবাড়ি এবং সড়কটা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে, যা আমাদের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে।”
একজন সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় মাত্রাকে বলেন, “ এলাকায় ড্রেনেজ সংস্কারের একটি প্রকল্প রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।”
৪০ নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকার একজন বাসিন্দা তৃতীয় মাত্রাকে জানান, “আমাদের এলাকায় প্রায় হাজারো ঘর এবং কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ এই সড়কের মানুষ পানিতে বন্দী হয়ে আছে। পাঁচ বছর ধরে চলমান এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
এই দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা জনজীবনে বিপর্যয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পচা পানির কারণে চর্ম রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, বাচ্চারা ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছে না বই খাতা নিয়ে পানিতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে। এলাকাবাসীর দাবি, শুধুমাত্র একটি কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা তাদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে ৪০ নং ওয়াড এর এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এলাকাবাসী দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন